ময়েজ মন্জিল - চৌধুরী মোহাম্মদ ময়েজউদ্দীন এটা ১৮৮৫ সালে ফরিদপুরে নির্মান করেন।
ঐতিহাসিক ময়েজ মন্জিল |
ঐতিহাসিক ময়েজ মন্জিল ভবনটি ২৭ বিঘা জমির উপর নির্মিত হয় এবং এর সাথে ফলফুলের বাগান ও অনেক গাছপালা আছে। ভবনটি উজ্জল সাদা রংয়ের , আর এটি পর্যটকদের জন্য খুবই মনোরম | হালিমা বালিকা উচ্চবিদ্দালয় এবং ময়েজউদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয় বাড়ীটিকে পৃথক করেছে আর এর মাঝখান দিয়ে কিছূুরাস্তা চলে গেছে।ভবনটি ১১ লাখ রুপি ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল জমিদার পরিবারের বাৎসরিক আয়ে।১৯১৬ সালে ভবনটি পুনঃ সংস্কার করা হয়। জমিদার পরিবারের লোকেরা আরো অনেক ভবন নির্মান করে যেমন, বিশ্বাস বাড়ী মন্জিল, চৌধুরী বাড়ী মন্জিল, বিশ্বাস বাড়ী২।
সবগুলো ভবনে মোট ১৭২টা ঘর রয়েছে।চৌধুরী ময়েজ উদ্দীন ছিলেন ফরিদপুরের প্রধান জমিদার এবং তার স্টেট ছিল ফরিদপুরের অধিকাংস স্হানজুড়ে। ময়েজউদ্দীন সাহেবের পুত্র চৌধুরী আবদুল্লাহ জাহেরউদ্দীন ( লাল মিয়া), য়ূসুফ আলী চৌধুরী (মোহন মিয়া), এনায়েত হোসেন চৌধুরী (তারা মিয়া ) বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন কারি ছিলেন এবং পাকিস্হান আমলে রাজনীতিবিদ ছিলেন। এখানে অনেক বড় বড় রাজনীতিবিদরা পরিদর্শন করে গেছেন যেমন নেতাজি সুবাস চনদ্র বসু, শেরে বাংলা এ,কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরওয়ারদী, স্যার মোহাম্মদ জাফরুল্লা খান। এখানে মহাত্মা গান্ধী ও ভারতের চলচ্চিত্রের অনেক বড় অভিনেতা , অভিনেত্রীরা পরিদর্শন করে গেছেন ১৯৩০ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে । এখনে বড় বড় রাজনীতিবিদ, এমনকি পাকিস্হানের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান মন্ত্রীরা ও পরিদর্শন করে গেছেন ১৯৫০ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে |
No comments:
Post a Comment